ঐতিহাসিকভাবে নগর পরিকল্পনা ও জনস্বাস্থ্য একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। করোনা মহামারী জনস্বাস্থ্যের সাথে নগর পরিকল্পনা ও নির্মিত পরিবেশের সম্পর্ককে পুনরায় আলোচনায় এনেছে। বিগত ২৫ জুন ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) আয়োজিত “নগর পরিকল্পনা ও জনস্বাস্থ্যঃ বৈশ্বিক এবং স্থানীয় অভিজ্ঞতা” শীর্ষক সেমিনারে এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। বিআইপি সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরীর সহযোগী অধ্যাপক ড. তানভীর তুরিন চৌধুরী এবং নগর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ পরিকল্পনাবিদ এমরানুল হক।
বিআইপি সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধির পরিবর্তে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতের ওপর চাপ কমানো সম্ভব। প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে দূরে সরে গিয়ে মানুষের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের ক্ষতিকর প্রভাব নীতি নির্ধারকদের সামনে উপস্থাপন করলে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন সহজতর হবে। বিআইপি’র সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, জনস্বাস্থ্যের সাথে নগর পরিকল্পনার সম্পর্ক কোভিড-১৯ এ নতুন গুরুত্ব পেয়েছে। অন্তর্ভূক্তিমূলক জনবসতি ও নগর গড়ে জনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন। ড. তানভীর তুরিন চৌধুরী বলেন, জনসেবার ব্যবস্থা করতে হলে মানুষের প্রয়োজন বুঝতে হবে। হেলথ লিটারেসির অভাব জনস্বাস্থ্যের সাথে পরিকল্পনার দূরত্বের কারণ। তিনি হেলথি সিটির অবকাঠামো জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা করেন।
পরিকল্পনাবিদ এমরানুল হক বলেন, শহর অঞ্চলে সঠিক কোন পাবলিক স্বাস্থ্য কাঠামো নেই, ফলে স্বাস্থ্যসেবা অপ্রতুল। কমিউনিটি লিড ইনিসিয়াটিভ গ্রহণ, রিসার্চ ও এভিডেন্স বেসড কাজ, এবং সরকার ও নগর পরিকল্পনাবিদদের সাথে সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি মতামত দেন। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন বিআইপি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট-১ পরিকল্পনাবিদ সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন, যুগ্ম সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ তামজিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ পরিকল্পনাবিদ ড. মুঃ মোসলেহ উদ্দীন হাসান, বোর্ড সদস্য (ন্যাশনাল এন্ড ইন্টারন্যাশনাল লিঁয়াজো) পরিকল্পনাবিদ মোঃ আবু নাইম সোহাগ, পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রিয়াজ উদ্দীন, পরিকল্পনাবিদ তৌফিক মহিঊদ্দীন, পরিকল্পনাবিদ তোসলিম শাকুর, পরিকল্পনাবিদ গৌড়াঙ্গ কুমার কুন্ডু, নিগার সুলতানা, মোহাম্মদ তমাল হোসেন।