Blog

15 Apr 2020

Author: DR. ADIL MOHAMMED KHAN

করোনাকালে কৃষি ও কৃষকের অধিকার এবং আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা

আমরা সম্পদের দিক দিয়ে কখনো হয়তো অতটা বিত্তশালী ছিলাম না, কিন্তু সবাই মিলে খেয়ে পরে বাঁচবার জন্য যতটুকু দরকার, পরম করুণাময় তা আমাদের উদার হস্তেই দিয়েছিলেন। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই সোনার বাংলা। এই মাটিতে আসলেই সোনা ফলে- ফলায় সোনার কৃষকেরা আর মায়াবতী কিষাণিরা।

বিনা পরিশ্রমে খেয়ে পরে কখনো বাঁচতে চায়নি আমাদের আকাশের মত বিশাল আর মাটির মত নরম এই কৃষকেরা। সকাল-সন্ধ্যা, নিশি-ভোর পরিশ্রম করে দুমুঠো ভাতের নিশ্চয়তা চেয়েছে শুধু, পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তিতে বেঁচে থাকবার অধিকারটাই চেয়েছে কেবল। কিন্তু আমাদের কৃষকেরা সবসময়ই অবহেলিত, বেঁচে থাকবার নিরন্তর সংগ্রামে পরাজিত যোদ্ধা... বন্যা-খরা-ঘূর্ণিঝড়কে তারা মোকাবেলা করতে পারলেও, কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্যের নিশ্চয়তা কখনো নেই তাদের। যে বছর অতি ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফোটে, সেই বছরই নিম্ন মূল্যের কারণে সেই হাসি মিইয়ে যায় অচিরেই। রাষ্ট্রের কত শত নীতি-প্রণোদনার কথা শুনে এই কৃষকেরা, ফি বছর আশায় বুক বাধে। এবার আমাদের দুঃখের দিন ফুরোলো বলে... গত বছরের বঞ্চনার দুঃখ ভুলে আবার মাটিতে আশার বীজ বুনে। কিন্তু তাদের দুঃখের এই চক্র যেন শেষ হবার নয়। এই নির্মম খেলার অমোঘ শিকার আমাদের চিরদুখী কৃষকেরা..

গাইবান্ধা জেলার আদর্শ চাষী আমির হোসেন, বংগবন্ধু পুরস্কারপ্রাপ্ত। অবহেলিত উত্তরবংগের মানুষ। করোনাভাইরাসে উনার ক্ষেত ও কৃষির অবস্থা জানাচ্ছেন বাংলার মানুষকে। জাগোনিউজের সৌজন্যে করোনা’কালে কেমন আছেন, এর জবাব কৃষক আমির হোসেন এর বরাতেই শুনি আমরাঃ

“আসলে কথা বলতে আমার নিজেরি কান্দন বাইর হয়। তার কারণ, আমরা বিভিন্ন টেলিভিশনের খবরে শুনি যে, ঢাকাতে করল্লার কেজি ১০০ টাকা, পটলের কেজি ১৫০ টাকা; আপনার বেগুনের কেজি ৬০টাকা, টমেটোর কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়শের কেজি ১০০ টাকা। কিন্তু আমরা যে গাইবান্ধা, অবহেলিত অঞ্চল উত্তরবংগের মানুষ; আমার টমেটোর কেজি ৩টাকা, পাইকারি ১.৫ টাকা; করল্লা হল ৩ টাকা, পাইকারি ২টাকা। বেঁচবার না পারি, হাটে নাই মানুষ; যদি পুলিশ এসে দেখে এক গলিতে মানুষ, ধরে দাবাড়; মানুষ যেভাবে সেভাবে জানের ভয়ে দৌড়ায়। কিছুক্ষণ পর দেখে-টেখে আমরা বাড়িত নিয়ে এসে গরুকে খিলাই; গরু তো টমেটো ও খায় না, কুত্তা ও খায় না ।

সরকার যদি তামাম কিছু কন্ট্রোল এভাবে করতে পারে, সরকার ওখান থেকে যদি সেনাবাহিনী দিয়া বা তার অন্য বাহিনী দিয়া বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চল থেইকা, হাট-বাজার দিয়া আমার কাঁচা সবজি, শসা, টমেটো, বেগুন, ক্ষিরা, আপনার তরমুজ, আপনার বাংগী নিয়া শহরের মধ্যে দিলে তাওত আমরা বাঁচি। তাও তো আমরা ৬০ এর জায়গায় ৩০ পামু।

কিন্তু এগুলার ব্যবস্থা নাই, এগুলো মরার ব্যবস্থা ছাড়া আর তো কোন ব্যবস্থা দেখিনা। এখন কি কব। এখন কও, একটাই আছে- গামছা গলার সাথে দড়ি লাগাই দিয়া ফাঁস টাংগিয়ে আমাদের ঝোলা লাগবে। এছাড়া বাংলাদেশের কৃষকের আর বাঁচবার উপায় নাই। সরকার যদি পদক্ষেপ না নেয় কৃষকের... লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ কইরা শ শ মণ টমেটো, শ শ মণ করল্লা, শ শ মণ মিষ্টি কুমড়া... যে ঢাকাত কালকেই খবরে কইল মিষ্টি কুমড়া ২০০ টাকা পিস, আমরা’ত ১৫ টাকা পিস, ৫ টাকা পিস নেবার লোক নাই। আমার গুলো দেখে কে?

সরকার যদি সব টেকেল করতে পারে, তো গাড়ি পাঠায় দেখ, আর আলগোছ বিভিন্ন জেলা থেকে শহরে নিয়ে যাক। তাও আমরা বাঁচমু। না হলে আমাদের মরণ ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। এ ব্যাপারে সরকারকে অতি তাড়াতাড়ি আমাদের বাঁচার তাগিদে কি করবে, সরকারের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি; সরকার যেন কৃষক বাঁচায়। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচলে রুই-কাতলা বাঁচবে। তা না হলে এই দেশে আর থাকা যাবে না...।”

আসলেই আমাদের কৃষকেরা একদম ভাল নেই। সরকার যেন কৃষক আর কৃষি বাঁচাবার উদ্যোগ নেয় অতি সত্বর। মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করে কৃষির ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করে। সরকার যদি সব পারে, তাহলে আমাদের কৃষকদের পণ্যের নিশ্চয়তা দেবার বন্দোবস্ত করতে কেন ব্যর্থ হয় বারবার। কৃষিপণ্য সরবরাহ ও বিপণন ব্যবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে অধিক কার্যকর পদক্ষেপ অতি জরুরি।

করোনাউত্তর পৃথিবীতে স্বাস্থ্য সংকটের পর খাদ্য সংকটই মনে হচ্ছে সবার আগে পৃথিবীকে চ্যালেঞ্জ জানাবে। এই নতুন পৃথিবীতে একেটটা দেশ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত হয়ে যাবার সম্ভাবনা প্রবল। অপরের প্রয়োজনের চেয়ে নিজেকে, নিজ দেশকে অধিকতর সুরক্ষিত করতে যাবতীয় উদ্যোগ নেবার প্রচেষ্টাই গুরুত্ব পাবে আগে, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যার লক্ষণ এখন খুব স্পষ্ট । আস্থার সংকট আর নিজেকে সুরক্ষার চাদরে ঢেকে নিতে বৃহৎ খাদ্য রপ্তানীকারক দেশগুলো ইতিমধ্যে খাদ্য রপ্তানী বন্ধ করবার আলামত দিতে শুরু করেছে। ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভারত, মিশর এরই মধ্যে খাদ্য রপ্তানি বন্ধের ইংগিত দিয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা শংকা প্রকাশ করছে, করোনা প্রভাবে ‘খাদ্য জাতীয়তাবাদ’ শুরু হয়ে যেতে পারে, যার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে এবং খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখা না হলে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে সবচেয়ে বিপদে পড়বে দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলো। পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে।

করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের প্রান্তিক কৃষকেরা কেমন আছেন। মানবিক ত্রাণ কি তাদের দুয়ারে পৌঁছেছে... সম্প্রতি গণমাধ্যম হতে আমরা জানতে পেরেছি, দরিদ্র প্রতিবেশিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা চাইতে সরকারি সহায়তার হটলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বেদম মারধরের শিকার হয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন নাটোরের লালপুর উপজেলার বৃদ্ধ কৃষক শহিদুল ইসলাম। মারধরের পর আর কাউকে কিছু বললে আরও খারাপ অবস্থা হবে বলে হুমকি দেন চেয়ারম্যান।

বিষয়টি সম্পর্কে চেয়ারম্যান সাত্তার জানান, সোমবার বিকেলে ইউএনও তাকে ডেকেছিলেন, সেখানেই মিমাংসা হয়েছে। অন্যদিকে ইউএনও জানান, ঘটনার জন্য চেয়াম্যানকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একজন কৃষক’কে ত্রাণ চাইবার জন্য বেদম মারধর করে রক্তাক্ত করাটা কি ফৌজদারী অপরাধ নয়। এই অপরাধের জন্য দেশে কি আইনের শাসন বিদ্যমান.. একজন চেয়ারম্যান কি নিশ্চিন্ত ও ভয়ডরহীন যে, একজন কৃষক’কে রক্তাক্ত করলে আপোষে মীমাংসা করা যায়; কিংবা বড়জোর তিন দিনের জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ। তারপর খবরের পাতা থেকে রক্তাক্ত বৃদ্ধ কৃষক উধাও, আর আইনের চাকার গতি ধীর হতে অতি ধীর...

আমরা যদি উল্টোভাবে ভাবি, ত্রাণ না পেয়ে এই কৃষক বেদম মারধর করেছে চেয়ারম্যানকে। তারপর কি হবে সবারই জানা, চেয়ারম্যানকে রক্তাক্ত করবার অপরাধে পুলিশ এসে অতি দ্রুত কৃষককে জেল হাজতে নিয়ে গেল; তারপর জেল, জরিমানার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত..

সত্যটা হচ্ছে, আইন কখনোই সকলের জন্য সমান ছিলনা। আইনের প্রয়োগ স্থান-কাল-পাত্র ভেদে ভিন্ন হয়ে দেখা দিয়েছে বারংবার। আর আমরা প্রশ্ন করতে ভুলে গেছি, আমরা প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি। আমাদের মাটির কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে আমরা ভুলে গেছি। কৃষকদের আমরা কখনো সেভাবে সম্মান দেইনি। কৃষি আমাদের প্রাণ, সেটা শুধু আমাদের বইয়ের পাতাতেই... সেই প্রাণ আমাদের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে, কিন্তু সে নিজে বাঁচার মত বেঁচে আছে কিনা সেই খোঁজ আমরা কখনো রাখিনি, রাখবার প্রয়োজনও সেভাবে বোধ করিনি।

আমরা অনেকেই হয়তো ভাবছি, করোনাউত্তর নতুন বিশ্ব-ব্যবস্থায় খাদ্য আমদানী ব্যাহত হলেও কৃষিপ্রধান দেশ হওয়াতে আমরা খাদ্য-সংকটে ভুগব না। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, কৃষিপ্রধান দেশ হওয়া সত্বেও অধিক জনসংখ্যা এবং দারিদ্র্যের কারণে ২০১৯সালের বৈশ্বিক খাদ্য-নিরাপত্তা সূচকে ১১৩ দেশের মধ্যে আমরা ৮৩ তম অবস্থানে। সার্বিক বিচারে আমরা খাদ্য আমদানিকারক দেশ, আমরা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তায় অন্যের উপর নির্ভরশীল। সাম্প্রতিক সময়ে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি আমাদের খাদ্য নির্ভরশীলতার বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছে। আসল কথা, খাদ্য নিরাপত্তায় আমরা খুব একটা ভালো নেই।

সার্বিক বিচারে, আমাদের কৃষি ও কৃষকদের বাঁচাতেই হবে; এর কোন বিকল্প নেই। শুধু কৃষকদের স্বার্থে নয়, আমাদের সবার স্বার্থেই। কৃষকরা যেন সুন্দর করে খেয়ে পরে বেঁচে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করাটা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে ছিল না। আমরা অক্ষম ছিলাম অন্যের অনুভূতি আর অধিকার’কে নিজের করে ভাবতে। এটা আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতা...

আমাদের বিদ্রোহী কবি সেই কবে বলে গিয়েছিলেন,

“আসিতেছে শুভদিন; দিনে দিনে বহু বাড়িতেছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ।”

স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে চলল… কৃষকদের প্রতি আমাদের সেই ঋণ আর শোধ করা হয়ে উঠেনি। কৃষকদের প্রতি আমাদের এতদিনের ঋণ শোধ করবার সময় এখন। সরকার ও নীতি-নির্ধারকের সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুব দ্রুত। কৃষক বাঁচলেই দেশ বাঁচবে, মানুষ বাঁচবে।

বাংলার সকল কৃষকদের প্রতি আমাদের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসাই যথেষ্ট নয়, কৃষকদের অধিকারের বিষয়ে আমাদের সকলেরই সোচ্চার হতে হবে। কৃষকের জীবন-জীবিকা, সম্মান আর অধিকারের বিষয়টি শুধু নীতি-নির্ধারকদের উপরে ছেড়ে দিলেই হবে না। বাংলার কৃষকদের প্রতি আমাদের সম্মিলিত দায় মেটাতে, কৃষকদের দাবীর কথা আমাদের সকলেরই উচ্চকন্ঠে উচ্চারণ করতে হবে।

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারকে কৃষিকে বাঁচাতে ইতিমধ্যে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। সরকার ঘোষিত এই প্রণোদনার বাইরেও কৃষি ও প্রান্তিক কৃষককে বাঁচাতে করণীয় অনেক কিছু রয়েছে। আমরা সরকারের কাছে বলিষ্ঠ দাবী জানাই, নাটোরের লালপুরের কৃষক শহিদুল ইসলামসহ সকল কৃষক নির্যাতনের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং কৃষকদের প্রাপ্য সম্মান প্রদানের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। গাইবান্ধার কৃষক আমির হোসেন সহ সকল কৃষকের কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবার সাথে সাথে কৃষকদের জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে সকল ধরণের পদক্ষেপ নিতে হবে। কৃষিপণ্য সুরক্ষায় খাদ্য সংরক্ষণাগার ও হিমাগার বাড়ানো, কৃষি বিপণন ব্যবস্থা কৃষকবান্ধব করা, প্রান্তিক কৃষকদের অর্থের সংস্থান করা, কৃষি ও কৃষকদের সুরক্ষা দেয়ার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমেই আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।

ফিরে যাই আমাদের কৃষক আমির হোসেনের কন্ঠে, “সরকার যদি সব টেকেল করতে পারে, তো গাড়ি পাঠায় দেখ, আর আলগোছ বিভিন্ন জেলা থেকে শহরে (সকল কৃষিপণ্য) নিয়ে যাক... না হলে আমাদের মরণ ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই... সরকার যেন কৃষক বাঁচায়। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচলে রুই-কাতলা বাঁচবে। তা না হলে এই দেশে আর থাকা যাবে না...।”

কৃষি না বাঁচলে কৃষির সাথে জড়িত লক্ষ লক্ষ আমির হোসেন’রা তা নাহলে যাবেন কোথায়....আর নতুন পৃথিবীতে আমরা ও আমাদের বেঁচে থাকবার খাদ্য কোথায় পাব..

-----------

আদিল মুহাম্মদ খান,

নগর পরিকল্পনাবিদ ও উন্নয়ন গবেষক;

adilmdkhan@gmail.com.